পাটের তৈরি জুতা … দেশে যখন বিভিন্ন পাটের কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই সময় পাট শিল্পকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য কাজ করছে এ্যামাস ফুটওয়ার লিমিটেড ।এই কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে পাটের জুতা সেন্ডেল।এখানে তৈরি করা জুতা সেন্ডেল রপ্তানি করা হচ্ছে ফ্রান্স ,জার্মানি, ইতালি ,শ্রীলঙ্কা, ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন দেশে । দর্শক বন্ধুরা আজ আপনাদেরকে দেখাবো এ্যামাস ফুটওয়ার লিমিটেড কারখানাটি ।
কেরানীগঞ্জে পাটের তৈরি জুতা যাচ্ছে ইউরোপ আমেরিকায়।
আর সেখানে কিভাবে তৈরি করা হচ্ছে পাটের জুতা দেখতে পারবেন তার সচিত্র প্রতিবেদন। এ্যামাস ফুটওয়ার লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি ঝিনাইদহ এবং যশোর মহাসড়কে কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে অবস্থিত। ২০১৬ সালে ৪০ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হলেও বর্তমানে এর পরিধি ৯০ শতক এলাকা জুড়ে।এ্যামাস ফুটওয়ার লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়দুল হক রাসেল এখানকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দেশের পাট শিল্পকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে এর পর বিদেশ থেকে কিছু মেশিনারিজ সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেন ।
২০১৭ সাল থেকে এখানকার উৎপাদিত পাটের জুতা দেশ ও দেশের বাহিরে রপ্তানি করা হচ্ছে। বর্তমানে উৎপাদিত পাটের জুতা ইউরোপ এবং আমেরিকাসহ দশটি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৩৮ জন পুরুষ এবং ৪২ জন নারী সহ মোট ৪০ জন কর্মচারীও কর্মকর্তা রয়েছে।প্রতিষ্ঠানের বাহিরে আরও চার শতাধিক নারী কাজ করছেন।গৃহস্থালির কাজের পাশাপাশি বাড়িতে বসেই তারা মাসে ৪ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করছেন।এজন্য তাদের ফ্রি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। হাতে এক জোড়া পাটের তৈরি জুতা সেলাই করলে ৯ থেকে শুরু করে ৩০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারে।
প্রতিদিন চার ঘন্টা কাজ করলে ২০ থেকে ৩০ জোড়া জুতা সেলাই করতে পারে। অনেক স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে কাজ করছেন। বিদেশিদের চাহিদা মত অর্ডার নেওয়া হয়। কারখানাটিতে মাসে আনুমানিক এক কোটি টাকার জুতা তৈরি করা হয়।এখানে সর্বনিম্ন ২ ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ১৬০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সত্তর ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ৫ হাজার ৬০০ টাকার মূল্যের জুতা তৈরি করা হয়।
মূলত চাহিদাও ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করা। ২০১৭ সাল থেকে এখানকার পাটের জুতা দেশের বাহিরে রপ্তানি করা হয়, কেরানীগঞ্জে পাটের তৈরি জুতা যাচ্ছে ইউরোপ আমেরিকায়।। প্রতিমাসে কারখানা থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার শ্রোতা রপ্তানি করা হচ্ছে।এ্যামাস ফুটওয়ার লিমিটেড জেনারেল ম্যানেজার মাসুদ রানা জানান ডিজাইন আর চাহিদার মধ্যে দাম নির্ধারণ করা, ৪০ থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত বিক্রয় করে থাকি আর বাহিরের দেশের এটা বিক্রয় করা হয় ২০০ থেকে আড়াইশো ডলার পর্যন্ত।পাটের তৈরি জুতার এখন চাহিদা ও রয়েছে অনেক।
গ্রামের নাম ইউটিউব।ইউটিউব পাল্টে দিয়েছে গ্রামের নাম।কী করে ইউটিউব পাল্টে দিচ্ছে এই গ্রামকে।