শরীরে গজাচ্ছে পশুর মতো লোম শিশু কন্যা তাসফিয়ার। সাড়ে তিন বছর বয়স শিশু কন্যা তাসফিয়ার। ফুটফুটে সুন্দর এই শিশু কন্যাটি পোশাক সাজগোজ করে ঘুরলে অন্য পাঁচটি শিশুর মতোই স্বাভাবিক লাগে। শুধু পোশাক পরলে স্বাভাবিক লাগলেই তো হবেনা। শিশুটি পোশাকের ভিতরে এক বিরল যন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। এই যন্ত্রণা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাকে আর তার পরিবারকে কারণ শিশু তাসফিয়ার শরীরে গজাচ্ছে পশুর মতো লোম শিশু কন্যা তাসফিয়ার।
আক্রান্ত হচ্ছে এক অন্য বিরল রোগে এখন তার শরীরের চার ভাগের তিন ভাগ পশুর লোম এ ঘিরে ফেলেছে। শিশুকন্যা তাসপিয়া জাহান (মনিরা) বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার গোডাউন পাড়ার মাসুদুজ্জামান মামুনের ছোট কন্যা। মামুন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। অর্থের অভাবে তার ফুটফুটে শিশুকন্যাকে চিকিৎসা করাতে পারেনি তিনি।
শিশু তাসফিয়ার বাবা মামুন জানান, জন্ম থেকেই তার সারা শরীর লম্বা লম্বা পশমে আবৃত। এখন গোটা শরীর জুড়ে বিস্তার ঘটছে, এমনকি মুখের মধ্যেও। পিঠের ছোট্ট একটি টিউমার থেকে এটির উৎপত্তি হতে পারে বলে তাদের ধারণা। তিনি আরো জানান, জন্মের মাত্র ছয় দিনের শিশুকন্যা তাসফিয়াকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছিল।
সেখানে চিকিৎসকদের একটি দল মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে তারা এটিকে বিরল চর্মরোগ বলে শনাক্ত করেছেন এবং শিশুর অন্তত তিন থেকে চার বছর বয়স হলে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য ঢাকায় অথবা ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দিনমজুর রাজমিস্ত্রির কাজ করে তাকে আর চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।শরীরে গজাচ্ছে পশুর মতো লোম শিশু কন্যা তাসফিয়ার।
শরীরে গজাচ্ছে পশুর মতো লোম শিশু কন্যা তাসফিয়ার
শিশুটির মা তানজিলা খাতুন জানান, গরমের দিনে শিশুটির শরীর থেকে আগুনের মত তাপ বের হতে থাকে দিনে দুই-তিনবার গোসল করাতে হয়। ভিজে কাপড় পরিয়ে দিন রাত ফ্যানের নিচে রাখতে হয় কন্যাশিশুটিকে বিদ্যুৎ না থাকলে সব সময় পাখার বাতাস করতে হয়। তানজিলা খাতুন আরো জানান, ডাক্তাররা বাচ্চাটিকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তবে রাজমিস্ত্রি বাবার সামর্থ্য নেই তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা করানোর জন্য। তাই তারা স্থানীয়ভাবে হোমিও চিকিৎসা করতেছেন। হোমিও চিকিৎসা করানোর পরে তার কোনো উন্নতি হয়নি বরং আরো বেশি লোম গজাচ্ছে। তাই এই ছোট্ট মেয়েটির পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।শরীরে গজাচ্ছে পশুর মতো লোম শিশু কন্যা তাসফিয়ার।
তার বাবা মামুন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। অর্থ অভাবে তার ফুটফুটে শিশু কন্যার চিকিৎসা করাতে পারেনি তিনি। শিশু তাসফিয়ার বাবা মামুন জানান, জন্ম থেকেই তার সারা শরীর লম্বা লম্বা পশমে আবৃত। এখন গোটা শরীরজুড়ে বিস্তার ঘটছে, এমনকি মুখের মধ্যেও। পিঠের ছোট্ট একটি টিউমার থেকে এটির উৎপত্তি হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
তানজিলা খাতুন আরো জানান, ডাক্তাররা বাচ্চাটিকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে রাজমিস্ত্রী বাবার সামর্থ্য নেই তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা করানোর জন্য। তাই আমরা স্থানীয় ভাবে হোমিও চিকিৎসা করাতে থাকি। হোমিও চিকিৎসা করানোর পরে তার শরীরে কোন উন্নতি হয়নি। বরং আরো লোম গজাচ্ছে বেশি। তাইতো এই ছোট্ট মেয়েটার পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।